Time management, একটা লাইনে কোড লিখে কালকে ঠিক করবো ভেবে ফেলে রাখলে কালকেই নতুন বাগের জন্ম হবে।
কিন্তু যদি আজকেই ২০ মিনিট সময় নিয়ে লিখে ফেলো, তোমার কোড শুধু ঠিক থাকবে না মনও শান্ত থাকবে।”
📌 Key Takeaways
- প্রোক্রাস্টিনেশন ও ভয় কাটাতে হবে।
- স্পষ্ট লক্ষ্য (SMART Goals) ঠিক করতে হবে।
- কাজকে ছোট ধাপে ভাগ করুন (Pomodoro)।
- Time Blocking করে দিনে শিডিউল সাজান।
- জরুরি–গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটেগরিতে কাজের Importance দিন।
- একই ধরনের টাস্ক একসাথে করুন (Batching)।
- ডিস্ট্র্যাকশন কমিয়ে ফোকাস ধরে রাখুন।
কোডারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী জানো? সময়ের ঘাটতি। অথচ মজার ব্যাপার হলো, সময় সবার জন্য সমান। পার্থক্য শুধু কে সময়কে হ্যাক করতে পারে, আর কে সময়কে নষ্ট করে।

কোডাররা কেন Time management করতে পারে না?
চলো, আগে জেনে নেই আসল সমস্যা কোথায়:
- প্রোক্রাস্টিনেশন (Procrastination)
“আগামীকাল থেকে শুরু করব” – এই ডায়লগটা যেন ডিফল্ট হয়ে যায়।
ভয়, আলসেমি আর অনিশ্চয়তা এর মূল কারণ। - ক্লিয়ার গোল না থাকা
তুমি জানো না কাজটা কেন করছো, কবে শেষ করতে হবে।
রেজাল্টের ছবি মাথায় না থাকলে শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। - ওভারলোডেড টাস্ক
একসাথে তিনটা প্রজেক্ট, দুইটা অ্যাসাইনমেন্ট, আর ওপরে থেকে বাগ ফিক্সিং বুঝতেই পারছো, মাথায় শর্ট সার্কিট হয়। - ডিস্ট্র্যাকশন আর ইন্টারাপশন
মোবাইল, ফেসবুক, ইউটিউব, কিংবা হঠাৎই “এক কাপ চা খাবি?” – এগুলো সময় খেয়ে ফেলে।
1. পোমোডোরো টেকনিক (Pomodoro Technique)
পোমোডোরো টেকনিকটা কোডারদের জন্য যেন এক ম্যাজিক হ্যাক, যা তোমার মনোযোগকে ধরে রাখে এবং প্রডাক্টিভিটি একদম ছুঁতে দেয়। আইডিয়া খুব সিম্পল: কাজকে ছোট ছোট টাইম-স্লটে ভাগ করো আর প্রতিটা টাইম-স্লটে পূর্ণ মনোযোগ দাও।
কীভাবে করো: Step by Step
- ২৫ মিনিট কাজ করো (Focus Session)
- পুরো ২৫ মিনিট শুধু কোডিং করো।
- নোট, সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজ সব কিছু একদম দূরে রাখো।
- ধরো তুমি নতুন ফিচার ডেভেলপ করছো বা বাগ ফিক্স করছো এই সময়ে মন একদম সেই কাজেই থাকুক।
- ৫ মিনিটের ছোট বিরতি (Short Break)
- টেবিল থেকে উঠে একটু হাঁটো।
- চোখকে রিফ্রেশ করো।
- পানি খাও, একটু স্ট্রেচিং করো।
- ব্রেইনকে রিফ্রেশ করার জন্য এটা একদম দরকার।
- চারটি পোমোডোরো শেষে বড় বিরতি (Long Break)
- চারবার ২৫+৫ মিনিটের সেশন শেষ হলে ১৫–৩০ মিনিট বড় বিরতি নাও।
- এই সময়টা কাজে নাও মাথা ঘুরে আসবে, মন শান্ত হবে।
- বড় বিরতির পরে আবার নতুনভাবে ফোকাস+এনার্জি নিয়ে কাজ শুরু করো।
কেন এটা কার্যকর?
- ছোট টাইম স্লট মানে দীর্ঘ সময় একটানা কোডে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হবে না।
- নিয়মিত ব্রেক মানে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হবে না, বাগের সম্ভাবনা কমবে।
- সেশনগুলোর মধ্যে ছোট বিরতি রাখা মানে ব্রেইনকে রিফ্রেশ করা, যাতে দীর্ঘ সময় কোডিং করার পরও ফোকাস থাকে।
টিপস (Tips for Maximum Effectiveness)
- Pomodoro Timer ব্যবহার করো মোবাইল বা ডেস্কটপে অনেক ফ্রি অ্যাপ আছে।
- কাজের ধরন অনুযায়ী টাইমটা সামঞ্জস্য করো (যেমন, রিসার্চ বা ডিবাগিং-এর জন্য ৩০ মিনিটও হতে পারে)।
- বিরতির সময় একদম স্ক্রীন থেকে দূরে থাকো চোখকে রেস্ট দাও।
2. টাইম ব্লকিং (Time Blocking)
টাইম ব্লকিং হলো কোডারের জন্য এক ধরণের “ডে-প্ল্যান ম্যাজিক।” দিনের কাজগুলো এলোমেলো না করে নির্দিষ্ট সময়ের ব্লকে ভাগ করো। যেমন সকাল ৯টা থেকে ১১টা নতুন ফিচার ডেভেলপমেন্ট, ১১টা থেকে ১১.৩০ ইমেইল চেক, ১১.৩০ থেকে ১টা বাগ ফিক্সিং।
প্রতিটা কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকলে মনোযোগ বাড়ে, প্রডাক্টিভিটি বাড়ে, আর কাজের চাপ কমে। ছোট বিরতি দিয়ে ব্রেইনকে রিফ্রেশ রাখাও জরুরি। দিনের শেষে রিভিউ করলে দেখবে, ব্লকিং মানে শুধু সময়ের হিসাব নয়, এটা তোমার কোডিংকে আরও স্মার্ট এবং ফলপ্রসূ করে তোলে।
Complete web development with Programming Hero
- ৫০০০+ জব প্লেসমেন্ট
- ৩ বেলা ডেডিকেটেড লাইভ সাপোর্ট
- ১০০% জব প্লেসমেন্ট সাপোর্ট
- ৮৫ টি মডিউল, ১২+ মাইলস্টোন
- ডেডিকেটেড হেল্প ডেস্ক ২৪/৭
3. SMART গোল সেট করা
তোমার লক্ষ্য যেন হয়:
- Specific (কোন ফিচার/মডিউল)
- Measurable (কত লাইন কোড বা কতটা প্রগ্রেস)
- Achievable (বাস্তবসম্মত ডেডলাইন)
- Relevant (প্রজেক্টের সাথে সম্পর্কিত)
- Time-bound (সময় বেঁধে দেওয়া)
এরকম ক্লিয়ার গোল থাকলে টাস্কে এনার্জি আসে।
4. প্রায়োরিটাইজেশন টেকনিকস
- সব কাজ একসাথে করলে কিছুই হবে না।
- Eisenhower Matrix ব্যবহার করো:
- জরুরি + গুরুত্বপূর্ণ = এখনই করো
- গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু জরুরি নয় = প্ল্যান করো
- জরুরি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নয় = ডেলিগেট করো
- না জরুরি, না গুরুত্বপূর্ণ = বাদ দাও
যেটা আসলেই প্রজেক্টকে এগিয়ে নেবে, আগে সেটাতেই মনো দাও।
কোডিং শেখার মতোই Time Management একটা স্কিল। এটা রাতারাতি আসবে না। ছোট ছোট অভ্যাস দিয়ে শুরু করো:
- আজ ২৫ মিনিট মনোযোগ দিয়ে কোড লিখো।
- আগামীকাল টাইম ব্লকিং করো।
- এক সপ্তাহ পর দেখবে, তুমি কেবল ভালো কোডারই নও, বরং এমন একজন স্মার্ট কোডার হয়েছো, যাকে সবাই ডেডলাইনের জন্য ভরসা করবে।
মনে রেখো “Good coders write code, great coders manage time to write great code.”